মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া
প্রকাশিত: ১৩/০২/২০২৩ ৯:৪৬ এএম , আপডেট: ১৩/০২/২০২৩ ৯:৫০ এএম

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় পশ্চিম বালুখালী ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে পশ্চিম বালুখালী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা দেখতে শতশত রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে আসছেন৷ খেলা শেষে সন্ধ্যা হয়েগেলে ক্যাম্পের বাহিরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ারা আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল৷
গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শতশত রোহিঙ্গা অভাবে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বালুখালি খেলা দেখতে এবং খেলতে আসছেন৷ খেলা পরিচালনা কমিটির তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন৷ খেলা শেষে সেখান থেকে কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের মাঝে বড় ধরনের সংঘাতে আশঙ্কা ছিল৷ রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের খেলাকে কেন্দ্র বড় ধরনের ঝগড়াঝাটিতে পরিনত হয়েছিল৷ পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিমাংসা করা হয়৷ এই খেলা চলতে থাকলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
পশ্চিম বালুখালী ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আলা উদ্দিন আজাদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি শিখার করে জানান, আমরা উপজেলা থেকে অনুমতি নিয়ে এই খেলা পরিচালনা করেছি৷ এখানে যেমন স্থানীয়দের আসতে সমস্যা নেই ঠিক তেমনি রোহিঙ্গাদের আসতেও সমস্যা নেই৷ আমরা স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও টিম দিয়েছি৷ চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যায়৷
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমার সাথে কোনো পরামর্শ না করে পালংখালী ইউনিয়নে এই খেলা পরিচালনা করছে তবে আমি এটা বিপক্ষে কারণ এখান থেকে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা যাচ্ছে৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে আমি এখন পাগল হয়ে গেছি৷ রোহিঙ্গারা এখন সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে৷ তার খেলা দেখা বা বাজারের বাহানা দিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে৷
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, রোহিঙ্গাদের নিয়ে খেলা পরিচালনা করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি যদি কেউ উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কর্মকাণ্ড করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
উখিয়া অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এবিষয়ে অবগত হয়েছি, এধরণের খেলার জন্য আমাদের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি৷ এই খেলা খুব শিগগিরই বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ আর যারা অনুমতি বা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...